নুসরাত হত্যায় সদরদপ্তরের তদন্ত শেষ: পুলিশ

পুলিশ সদরদপ্তর গঠিত দলের তদন্ত শেষ হয়েছে বলে কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন।  

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2019, 05:37 PM
Updated : 20 April 2019, 05:37 PM

চার দিনের তদন্ত শেষে শনিবার দুপুরে পুলিশের গাফিলতি তদন্তে গঠিত এই কমিটির সদস্য কুমিল্লা সিআইডির পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে একথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমাদের তদন্ত কাজ আপাতত শেষে, আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।”

মোস্তফা কামাল বলেন, গত বুধবার সকাল থেকে পুলিশ সদরদপ্তরের পাঁচ সদস্যের তদন্ত দল সোনাগাজীর ঘটনাস্থল, নুসরাতের পরিবার, মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মচারীদের মতামত গ্রহণ করে।

তারা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কাথা বলেছেন বলেও কামাল জানান।

“ঘটনার পর সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোয়াজ্জেমের কর্মকাণ্ডগুলোও তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সাথে জড়িত অনেক বিষয় উঠে এসেছে।”

পাঁচ সদস্যের এই তদন্ত দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পুলিশ সদরদপ্তরের ডিআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড প্ল্যানিং) এস এম রুহুল আমিন, একজন পুলিশ সুপার, দুজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও একজন পরিদর্শক।

সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিমের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে মাদ্রাসায় গেলে কয়েকজন মিলে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে দগ্ধ নুসরাতের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি এবং আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

আলোচিত এ মামলায় এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই।

এরা হলেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্যাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, ইফতেখার উদ্দিন রানা ও মো. ইমরান হোসেন।

এদের মধ্যে মামলার এজহারভুক্ত আট জনের মধ্যে সবাই গ্রেপ্তার আছেন।

এ মামলায় আদালতে নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে সাতজন জবানবন্দি দিয়েছেন।

এরা হলেন মামলার এজহারভুক্ত আসামি নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি ও জাবেদ হোসেন।