নুসরাত হত্যা: ডিআইজির নেতৃত্বে আরেকটি তদন্ত দল

ফেনীর সোনাগগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা তদন্তে পুলিশের এক ডিআইজির নেতৃত্বে আরেকটি দল গঠন করা হয়েছে।

ফেনী প্রনিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2019, 05:52 PM
Updated : 17 April 2019, 05:52 PM

বুধবার সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ডিআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড প্ল্যানিং) এসএম রুহুল আমিন একথা জানান।

রুহুল আমিন বলেন, পুলিশ সদরদপ্তর থেকে তার নেতৃত্বে গঠিত দলকে বৃহস্পতিবার থেকে তদন্ত কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে।  

পাঁচজনের এই তদন্ত দলে আরও রয়েছেন দুইজন পুলিশ সুপার, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও একজন পরিদর্শক। 

রুহুল আমিন বলেন, নুসরাত হত্যার ঘটনায় তদন্তদল যেটা পাবে সেই ভিত্তিতে সম্পূর্ণ বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

“আমরা নিহত রাফির পিতা-মাতা, শিক্ষক ও সহপাঠীদের সাথে আগামী কাল (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত কথা বলব।

“যেহেতু এ মামলা নিয়ে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) কাজ করছে, তারা প্রতিনিয়তই মামলার অগ্রগতি নিয়ে কথা বলছেন; সেহেতু আমরা এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। আমরা মাত্র কাজ শুরু করলাম।”

হত্যাকাণ্ডের আগে-পরে পুলিশের কোনো গাফলতি আছে কিনা বা এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে কী করা উচিত তা তদন্ত ও অনুসন্ধান করে বিষটি খতিয়ে দেখার জন্য তার নেতৃত্বে পুলিশ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে রুহুল আমিন জানান।

আলোচিত এ মামলায় এ পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই।

এরা হলেন ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্যাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, যোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি ও আব্দুর রহিম শরিফ।

এদের মধ্যে মামলার এজহারভুক্ত আট জনের সাতজন রয়েছেন।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে আসামি নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম ও আব্দুর রহিম শরিফ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত আলিমের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে গেলে মাদ্রাসায় একদল তরুণ-তরুণী তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে মারা যান।

এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।