কুমিল্লা ইপিজেডের আগুন নিভেছে ১৪ ঘণ্টায়

প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর কুমিল্লা ইপিজেডে আরএন স্পিনিং মিলস-এ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 April 2019, 02:05 PM
Updated : 9 April 2019, 02:05 PM

সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে কারখানার প্রোডাকশন ফ্লোরে আগুনের সূত্রপাত হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আগুন নির্বাপনে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট কাজ করেছে। অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্রমিকরা যখন তাদের শিফটের কাজ শেষ করে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন কোম্পানির প্রোডাকশন ফ্লোর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। এ সময় ফায়ার এলার্ম বেজে উঠলে শ্রমিকরা নিরাপদে কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারে।

প্রতিষ্ঠানটিতে চার শিফটে প্রায় এক হাজার ২৯৬ জন শ্রমিক কাজ করে। এটি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মালিকানাধীন শতভাগ রপ্তানিমুখী সুতা উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান।

কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক রতন কুমার নাথ বলেন, ইপিজেডের কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনের ১০টি ইউনিট কাজ করেছে। প্রায় ১৪ ঘণ্টা টানা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর এবং পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

কুমিল্লা ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ ও ভবিষ্যৎ করণীয় সংক্রান্ত দিক নির্দেশনার জন্য কুমিল্লা বেপজা পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করেছে।

“সেইসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হোসেনকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন ছয় সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।”

আরএন স্পিনিং মিলের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শামসুল হক জানান, কু‌মিল্লা ইপিজেডে ১৬টি পল্ট নিয়ে ‘মেসার্স আরএন স্পিনিং মিলস লি.’ এর অবস্থান। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মালিকানাধীন রপ্তানিমূখী সুতা উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান এটি। আগুনে পুড়ে যায় ভবনের তিনটি ফ্লোর; যার দুটিতে ছিল তুলা ও সূতার কারখানা। একটিতে ছিল গুদাম।

“এই আগুনে আনুমানিক দেড়হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে,” বলেন তিনি।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় আগুন নেভাতে দেরি হয়েছে। এছাড়া ঘটনার আগ মুহূর্তে কারখানার ৩০০ জন শ্রমিক শিফট শেষে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ কারণে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।