শনিবার কক্সবাজারের টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ইয়াবা চোরাকারবাদিরে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন কক্সবাজারের ১০২ জন ইয়াবা চোরাকারবারি।
অনুষ্ঠান শেষে আত্মসমর্পণকারীদের কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তাদের হেফাজত থেকে পাওয়া মাদকদ্রব্য ও অবৈধ অস্ত্র পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য নিষিদ্ধ এলাকা। মাদক নির্মূলে সরকার কঠোরতা অবলম্বন করবে; এতে কেউ ছাড় পাবে না।
"যেসব ইয়াবা ব্যবসায়ী সরকারের আহবানে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে তাদের ব্যাপারে নমনীয়তা দেখানো হবে। তবে আত্মসমর্পণের পর যদি কেউ আবার মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে তার প্রতি দ্বিগুণ ভয়াবহ আচরণ করা হবে।"
আত্মসমর্পণকারী মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এসবের আওতায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্ত্রী জানান।
“আত্মসমর্পণের আওতায় মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের হবে তাতে সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে তাদের আইনগত সুবিধা দেওয়া হবে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াবা কারবারি অন্যদেরও আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো ছাড় না দেওয়ার অবস্থান নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পুলিশের মহাপরিদর্শক মো. জাবেদ পাটোয়ারী অন্য চোরাকারবারিদেরও আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানান।
আত্মসমর্পণকারীদের অভয় দিয়ে তিনি বলেন, “যারা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাদের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য যা যা করণীয়, তা করা হবে, আইনগত সহায়তা দেওয়া হবে তাদের। আইনের মাধ্যমে স্বল্পসময়ে যেন তা নিষ্পন্ন করা যায়, সেই ব্যবস্থাই নেওয়া হবে।”
সীমান্ত দিয়ে ইয়াবাপাচার রোধে বিজিবিকে আরও বেশি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী।
ইয়াবা নির্মূলে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা মাদককে নির্মূল করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ।”
এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান আয়োজনে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গত এক সপ্তাহ ধরে কক্সবাজার অবস্থান করে সার্বিক প্রস্তুতির তত্ত্বাবধান করছিলেন।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন জানান, ইয়াবা কারবারিরা আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্মতি জানানোর পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিশেষ উদ্যোগে জেলা পুলিশও তৎপরতা শুরু করে। এতে অনেকে সাড়া দিয়ে নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে নিরাপদ হেফাজতে আসেন।