মঙ্গলবার স্থানীয় আফাজ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে একটি পুকুর পাড়ে মাটিচাপা দেওয়া হাত-পা মুখ স্কচটেপ দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।
নিহত মনির হোসেন (৫) ধামরাইয়ের ছোট আশুলিয়া গ্রামের সোনা মিয়া ওরফে কালা মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তাররা হলেন ছোট আশুলিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মুদি দোকানদার মাজেদুল ইসলাম (৩০) ও জয়পুরা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মানছুর মিয়া (৩৫)।
তবে এ ঘটনার কথিত হোতা রাব্বিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাইদুল ইসলাম বলেন, গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে মনির হোসেন খেলতে যায়। তখন মনিরকে ডেকে নিয়ে নেশাজাতীয় চকলেট খাইয়ে অচেতন করে রাব্বি, মাজেদুল ও মানছুর। পরে তার হাত-পা মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে একটি বস্তার ভিতর ঢুকিয়ে রাব্বিদের বাড়ির পাশে একটি পুকুরে ফেলে রাখে।
সাইদুল বলেন, রাত ৮টার দিকে তার বাবা বিদেশ ফেরত সোনা মিয়ার মোবাইলে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে দশ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা।
“মুক্তিপণ না দিলে তার ছেলেকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয় তারা। ওইদিন রাত ১১টার দিকে সোনা মিয়া ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।”
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে জয়পুরা এলাকা থেকে অপহরণকারী মানছুরকে গ্রেপ্তার করার পর তার স্বীকারোক্তির প্রেক্ষিতে মাজেদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“পরে তাদের সাথে নিয়ে মনিরের মাটিচাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
গ্রেপ্তাররা পুলিশকে জানিয়েছে যে টাকার জন্য তারা অপহরণ করেছিল; কিন্ত ধরা পড়ার ভয়ে শিশুটিকে হত্যা করেছে, বলেন সাইদুল।
এ ঘটনায় ধামরাই থানায় এ তিনজনের নামে এবং অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।