দাদপুর ইউনিয়নের খলিফারহাট বাজারে মঙ্গলবার বিকালে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও লুঠপাট হয়।
আহতদের মধ্যে শান্ত (১০), সোলাইমান (২৮), সুমন (২৩), জসিম (৪৫), অহিদ উল্যা (৩০), মাসুদ (৩৫), মঞ্জু (২২), জিয়া (২০), মনির আহম্মদ (৬০) ও সবুজকে (২৩) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েক দিন আগে প্রতিপক্ষের হাতে জহির গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার দায়ের করা মামলায় শিপনের অনুসারী সাতজন এ মামলায় আসামি হওয়ায় সোমবার আদালতে হাজির হন। তাদের মধ্যে তিনজনের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়।
মিজানুর রহমান শিপনের অভিযোগ, তারা আদালত থেকে ফেরার পথে খলিফারহাট বাজারের পাশে জহির, রশিদ, রাসেল ও রহিমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
“এ সময় বাজারের চা দোকানদার সোলাইমন, অটোরিকশা চালক সুমন, মোটরসাইকেল মেকানিক জসিম উদ্দিন, অহিদ উল্যা, মাসুদ, মঞ্জু, শান্ত, জিয়া, মনির আহম্মদ ও সবুজ গুলিবৃদ্ধ হন।”
এদিকে, জহির উদ্দিন পাল্টা অভিযোগ করেন, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে শিপন তার লোকজনকে নিয়ে বার বার হামলা চালিয়েছেন। এবারও শিপনের উপস্থিতিতে তার লোকজন এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাসুদর রহমান জানান, সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তবে আহত সবাই শঙ্কামুক্ত বলে তিনি জানান।
সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনায় জড়িতদেরকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।