সোমবার সিলেট শহরের কাজলশাহ এলাকার একটি মেস থেকে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাইফুরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী তিনি। কয়েক মাস আগে এমএসসি পরীক্ষায় পাস করেন।
প্রতীকের বড় বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের শিক্ষক শান্তা তৌহিদা অভিযোগ করেন, “প্রতীককে মাস্টার্সে কম নম্বর দেওয়া হয়েছে এবং থিসিসের জন্য সুপারভাইজর দেওয়া হয়নি। এসব কারণে সে হতাশায় আত্মহত্যা করেছে।”
তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, তিনি প্রতীকের মেসেঞ্জার চেক করেছেন। সেখানে তিনি তার মানসিক অসুস্থতার আলামত পেয়েছেন।
“সেখান দেখা গেল, ওই শিক্ষার্থী গত দুই বছর থেকে মেন্টাল ডিজর্ডারে ভুগছিল। ছয় মাস থেকে সে ঘুমের পিল খেয়ে ঘুমাত। সে দুইজন ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিল। কিন্তু তার ফ্যামেলি তাকে কোনো সাপোর্ট দেয়নি। মেসেঞ্জারে দেখা যায়, তার বাবা খুব শক্ত। তিনি কোনো সাপোর্ট দিচ্ছেন না।”
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের বি ইউনিটের শিক্ষার্থীদের নবীন-বরণ অনুষ্ঠানে উপাচার্য এসব কথা বলেন। এ সময় মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
উপাচার্য বলেন, “অবান্তর, ভিত্তিহীন কিছু অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য একটা অপচেষ্টা চলছে। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্রহনন বরদাশত করব না।
“সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে, টিভি চ্যানেলে গিয়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এমন বক্তব্যের প্রতি ঘৃণা জানাই, নিন্দা জানাই।”
প্রতীককে থিসিসের জন্য সুপাইভাইজর দেওয়া হয়নি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তার বিভাগের প্রধান শামসুল হক প্রধান বলেন, “ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।”
এদিকে আত্মহত্যার ঘটনা তদন্তে এগ্রিকালচার অ্যান্ড মিনারেল সায়েন্স অনুষদের ডিন মোহাম্মদ বেলাল উদ্দীনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও সহকারী প্রক্টর মো. সামিউল ইসলাম।