শাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সাবেক এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

হোসাইন ইমরান, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2019, 04:58 PM
Updated : 16 Jan 2019, 04:35 AM

সিলেট শহরের কাজলশাহ এলাকার একটি মেসে রোববার রাতে ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে কোতয়ালি থানার ওসি মো সেলিম মিয়া জানান।

সাইফুর রহমান নামের ওই শিক্ষার্থী প্রতীক নামে ক্যাম্পাসে সকলের কাছে পরিচিত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ওসি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা অনুমান করছি রাত ১২টা বা ১টার দিকে তিনি মেসের ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সাড়ে ৩টার দিকে ওই মেস থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছি।”

তার এক বান্ধবীর বরাত দিয়ে ওসি বলেন, “বিদেশে যাওয়া নিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গত রাতে তার কথা হয়েছে। এ বিষয়টি তার আত্মহত্যায় প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

তবে সাইফুর রহমানের বড় বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের শিক্ষক শান্তা তৌহিতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকে একাধিক স্ট্যাটাস দিয়ে বিভাগের শিক্ষকদের প্রতি অভিযোগ তোলেন।

তিনি এক ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, “আমার ভাইটারে গতমাসেও আমি জিজ্ঞেস করেছি আমি কি তোর বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা করব? আমার ভাই বলেছে আপু আমি জিআরই দিয়েছি, আমি ইউকে চলে যাব। আমার তো রেফারেন্স লাগবে! শিক্ষকরা ভয় দেখাইছে কিছু করলে রেফারেন্স লেটার দিবে না...আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে ওরা।”

আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “ ...জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগকে আমি ছাড়ব না। অনার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়া ছেলেটাকে বিভিন্ন ইসু বানায়ে মাস্টার্স এ সুপারভাইজার দেয় নাই, বিভিন্ন কোর্সে নম্বর কম দিয়েছে। আমার ভাইটি টিচার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল এটাই তার অপরাধ...। গত ছয়মাস ধরে ডিপার্টমেন্ট তিলে তিলে মেরে ফেলেছে আমার ভাইকে।”

বিভাগের শিক্ষকদের প্রতি অভিযোগের বিষয়ে জানতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শাসসুল হক প্রধানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জহীর উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমি হাসপাতালে লাশের পাশেই আছি। তার পরিবারের লোকজন আসার পথে আছেন। তাদের সাথে কথা বলে বাকিটা জানাব।”