বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার এ রায় ঘোষণা করেন।
আব্দুস সবুর মোল্লা (৫২) কলারোয়া উপজেলার মুরারিকাটি গ্রামের আবুল কাসেম মোল্লার ছেলে।
নিহত রোমেছা খাতুন কলারোয়া উপজেলার কুমারনাল গ্রামের মৃত মেহের আলি সরদারের মেয়ে।
মামলার বাদী নিহতের ভাই জালাল উদ্দিন বলেন, সবুর মোল্লার সঙ্গে তার বোনের বিয়ের পর তারা জানতে পারেন তার ভগ্নিপতির
আরেকটি স্ত্রী রয়েছে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
তার ভগ্নিপতি কুমারনাল গ্রামে প্রথম স্ত্রীকে রেখে তার বোনকে নিয়ে মুরারিকাটি বাসায় থাকতেন। তার বোন রোমেছা এলজিইডির একটি প্রকল্পে শ্রমিকের কাজ করতেন। বেতন পাওয়ার পর স্বামী তার ওই টাকা নেওয়ার জন্য প্রায়ই মারধর করতেন।
মামলার বরাত দিয়ে জালাল বলেন, ২০১২ সালের ২৪ অগাস্ট বেতনের টাকা না দেওয়ায় তার বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন সবুর মোল্লা। ওইদিনই এলাকাবাসী তার ভগ্নিপতিকে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ওইদিনই তিনি (বাদী জালাল উদ্দিন) কলারোয়া থানায় ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরদিন ২৫ অগাস্ট সবুর আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলারোয়া থানার এসআই ফকির আজিজুর রহমান আব্দুস সবুর মোল্লার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন বলে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি তপন কুমার দাস জানিয়েছেন।