রোববার রাতে শ্রীপুরের ফাউগান গ্রাম থেকে রাকিনের এই দুই প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন রাকিনের গৃহশিক্ষক পারভেজ শিকদার (১৮) ও তার এক সহযোগী (১৬)। পারভেজ ২০১৭ সালে ফাউগান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে শিমুলতলী কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এগ্রিকালচার ডিপ্লোমায় ভর্তি হয়েছেন। পারভেজের সহযোগী ফাউগান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র।
গত ৫ ডিসেম্বর মাগরিবের নামাজ পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু সাদমান ইকবাল রাকিন (১০)। ১১ ডিসেম্বর ফাউগান গ্রামে তাদের বাড়ি সংলগ্ন বাঁশঝাড়ে রাকিনের লাশ পাওয়া যায়।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম বলেন, রাতে অভিযান চালিয়ে হত্যায় এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা রাকিন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
রাকিনের বাবার দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৫ ডিসেম্বর মাগরিবের নামাজ পড়তে মসজিদের পথে বের হয় রাকিন। এর এক ঘণ্টা পর তার বাবার মোবাইল ফোনে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
১১ ডিসেম্বর উপজেলার ফাউগান গ্রামের বাড়ি সংলগ্ন বাঁশঝাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
রাকিন শ্রীপুরের প্রহলাদপুর এলাকার ফাউগান গ্রামের বাসিন্দা ও গাজীপুর জেলা পরিষদের কার্য সহকারী শামীম ইকবালের ছেলে।
রাকিন চলতি বছর ফাউগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দিয়েছিল।
রাকিনের বাবা সৈয়দ শামীম ইকবাল বলেন, প্রায় ৬ মাস আগে তার স্ত্রীর ব্যবহার করা একটি মোবাইল সেট সিমসহ হারিয়ে গিয়েছিল; কিন্তু এ বিষয়ে তিনি থানায় জিডি করেননি। ওই নম্বর থেকেই তার কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরপর তিনি এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় মামলা করেন বলে জানান।