নোয়াখালীতে যুবলীগ নেতাকে গুলিতে হত্যা

নোয়াখালী সদরে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাকে মাথা থেঁতলে ও গুলি করে হত্যা করেছে একদল হামলাকারী, যাদের বিএনপি সমর্থক বলছে আওয়ামী লীগ।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2018, 02:06 PM
Updated : 11 Dec 2018, 03:41 PM

মঙ্গলবার এওজবালিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে বলে সুধারাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান।

নিহত মো. হানিফ (২৪) এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় মো. মফিজ উল্লাহর ছেলে।

এ হামলায় দুই জন আহত হয়েছেন। এরা হলেন নূর ইসলাম (২৫) ও মো. লিটন (২২)। তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচার শুরুর প্রথমদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও হামলায় নিহতের ঘটনা এটি প্রথম।

ওসি সাংবাদিকদের বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নুরু পাটোয়ারী হাটে বিএনপি একটি বৈঠক করে। বৈঠক শেষে তারা একটি মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন হানিফ ও আরেক জন।

“তখন বিএনপির মিছিলকারীরা প্রথমে হানিফের উপর মরিচের গুঁড়া ছিটায় এবং পরে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দিয়ে শটগান থেকে গুলি করে।”

হাসপাতালে হানিফের মরদেহ

নিহত হানিফের স্বজনের আহাজারি

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিজ বলেন, “তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার মাথা থেঁতলানো এবং শরীরের বিভিন্ন স্থালে ছররা গুলির চিহ্ন রয়েছে।”  

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিহাব উদ্দিন শাহীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই এলাকার বিএনপি ও জামায়াতের লোকজন বিভিন্ন সময় একাধিকবার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে।

“তারা এওজবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর জাহেরকে হত্যারও চেষ্টা করেছে। সেটাতে ব্যর্থ হয়ে হানিফকে হত্যা করেছে।”

অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের আজ কোনো কর্মসূচি ছিল না। তারা আমাদেরকে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না। এখন নিজেরা নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে।”

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন একরামুল করিম চৌধুরী

এদিকে, এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে আসেন।

জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ অশান্ত ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য বিএনপি এই হামলা চালিয়েছে।

তিনি হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।