জেলার পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সদর থানার ওসি মো. আব্দুল হাই জানান, জেলা শহেরর তৌফিকুর রহমানের রুমি জুয়েলার্সে চুরির অভিযোগ পেয়েছেন তারা।
মালিক কর্তৃপক্ষ শনিবার দোকান খুলে চুরির ঘটনা জানতে পারে। পুলিশের ধারণা শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে চুরি হয়।
ওসি হাই বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অনুমান করা হচ্ছে রুমি জুয়েলার্সের পাশের আঁখি ইলেকট্রনিক্স নামের দোকানের তালা খুলে সেই দোকানের মধ্য দিয়ে রুমি জুয়েলার্সের দেয়াল কেটে ভেতরে ঢোকা হয়।
“ভেতরে ঢুকেই সিসি ক্যামেরা খুলে নেওয়া হয়। আর ভেতরে প্রবেশের আগে বাইরের সিসি ক্যামেরাগুলো উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার হওয়ায় দীর্ঘসময় ধরে নির্বিঘ্নে দুটি সিন্দুক ভেঙে সব সোনা নিয়ে যায়। তারা ভেতরে প্রবেশের সময় আঁখি ইলেকট্রনিক্সের চারটি তালা খুললেও যাওয়ার সময় দোকানের তিনটি তালা ও অন্য একটি তালা লাগিয়ে দেয়।”
বিকালে রাজশাহী থেকে বিশেষজ্ঞ দল এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাতের ছাপ ও বিভিন্ন আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে বলে তিনি জানান।
দোকান মালিক তৌফিকুর রহমান বলেন, “কী পরিমাণ সোনা চুরি হয়েছে তা হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন না হলেও ধারণা করছি ৩০০ থেকে ৪০০ ভরি সোনা চুরি হয়েছে।”
এ ব্যাপারে সদর থানায় মামলা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল আকতার, ওসি আব্দুল হাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।