বুধবার পঞ্চবটি বিসিক শিল্প নগরীর ‘ফেম এ্যাপারেলস লিমিটেডে’ এ ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১০ শ্রমিক আহত হয়েছেন।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান ফেম এ্যাপারেলস লিমিটেডের কর্মচারী জাকিউল ইসলাম ওরফে জাকিরের (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, কর্মরত অবস্থায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন জাকির। পরে নারায়ণগঞ্জ হাসাপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর কারখানায় ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা কারখানায় ভাংচুর চালায়। পরে এ বিক্ষোভ পুরো বিসিক শিল্প নগরীতে ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বিসিকের প্রধান তিনটি ফটক বন্ধ করে দিয়ে ৭/৮টি পোশাক কারখানায় ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে জানালার ভাংচুর চালায়। কারখানার বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে বাইরে এনে সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুরো বিসিক শিল্পনগরী অচল হয়ে পড়ে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের জানান, শ্রমিকদের নিক্ষিপ্ত ইটপাটকেলে বিভিন্ন কারখানার দশজন শ্রমিক আহত হয়। আহতদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
“পরে শিল্প পুলিশ, ফতুল্লা থানাসহ অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সাথে আলোচনা করে শ্রমিকদের শান্ত করে।”
বিসিকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে বিসিকে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান ওসি।
ফেম অ্যাপারেলসের শ্রমিক আমিনুল মিয়া ও সোহেল জানান, তাদের এক সহকর্মী বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ তাদের কাজ চালিয়ে যেতে বলে। তখন তারা সহকর্মীর মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের দাবিতে কাজ বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
আরেক শ্রমিক আলাউদ্দিন বলেন, “কারখানার প্রায় প্রতিটি মেশিনেই আর্থিং থাকে। কর্তৃপক্ষকে বলার পরও তারা সমস্যা সমাধান করেনি। মালিকপক্ষের গাফলতির কারণেই আমাদের এক সহকর্মী বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছে।”