৯১ বছরেও বয়স্কভাতা পাননি শেরপুরের মনোয়ারা

জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্ণা দিয়েও শেরপুরের ৯১ বছর বয়সী মনোয়ারা বয়স্কভাতা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।

শেরপুর প্রতিনিধিআব্দুর রহিম বাদল, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Oct 2018, 12:23 PM
Updated : 15 Oct 2018, 12:23 PM

মনোয়ারা জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার নয়াগাঁও গ্রামের জহুর উদ্দীনের স্ত্রী। জাতীয় পরিচয়পত্রে তার জন্মতারিখ ১৯২৭ সালের ১ মার্চ।

তাকে এখন লাঠি ভর দিয়ে চলতে হয়। ঠিকমত কানে শুনতে পান না।

মনোয়ারা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্বামী মারা গেছে প্রায় ৩৫ বছর আগে। ছেলেদের কাছে থাকি। কিন্তু তারা এখন আর কাজ করতে পারে না।

“শুনি সরকার বয়স্কভাতা দেয়। চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে কতবার গেলাম। কত আকুতি-মিনতি করেছি। তারা বলে ভবিষ্যতে এলে পাব। কবে আসবে? এখন তো আমার মারা যাওয়ার সময় হয়ে গেল।”

তার ছেলে নূর আলী বলেন, তারা চার ভাই ও এক বোন ছিলেন। দুই ভাই ও বোন মারা গেছেন।

“আমি নিজে কোনো কাজ করতে পারি না। এখন আমার সন্তানদের সহযোগিতায় সংসার চলে। একাধিকবার মায়ের জন্য বয়স্ক বা বিধবা ভাতার জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে আবেদন করেছি। আজ পর্যন্ত কিছু পাইনি। যেকোনো একটি ভাতা পেলে মার উপকার হয়।”

ঝিনাইগাতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হোসেন চান বলেন, “এবার বরাদ্দ এলে মনোয়ারাকে বয়স্কভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেব।”

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান বলেন, “আগামী নভেম্বর মাসে বরাদ্দ আসবে। তখন মনোয়ারার নামে বয়স্ক বা বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়া হবে।”

সমাজসেবা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বয়স্কভাতা পেতে নারীর জন্য বয়স ৬২ ও পুরুষের জন্য ৬৫ বছর বয়স হতে হয়।

১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে প্রথম ‘বয়স্ক ভাতা’ কর্মসূচি চালু করা হয়। শুরুর দিকে মাসিক ভাতার পরিমাণ ১০০ টাকা হলেও বর্তমানে তা ৫০০ টাকা।