রোববার নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামে গিয়ে দেখা যায় গ্রামটিতে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটির অর্ধেক নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙন কবলিতরা তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
ওই গ্রামের জহুর আলী বলেন, জায়গা জমি যা ছিল সব নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এখন মাথা গোঁজার ঠাই নাই।
পারুল আক্তার নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, গত তিনদিনে ৩২টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে।
পাউবো জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করলেও তা ঠেকানো যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নজরুল ইসলাম।
বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন বলেন, “সামনে সমাপনী পরীক্ষা। স্কুলটি ভেঙে গেলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিপদে পড়ে যাব।”
নুনখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বেপারী বলেন, “আমরা জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করেছি, তাতে লাভ হয়নি।”
ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন বলেন, “ভাঙনের খবর আমরা পেয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। আশা করছি সবাই মিলে ভাঙন রোধ করতে সক্ষম হব।”