গুরুদাসপুর থানার ওসি সেলিম রেজা মঙ্গলবার থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন শাকিব হাসান (১৬), তার মা সোনালী বেগম (৩৪) ও বাবা মোর্শেদ আলী (৪০)।
গত বছরের ২০ ডিসেম্বর গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর ইউনিয়নের বিলশা গ্রামের খাদিজা (৭) নিখোঁজ হয়। ২২ ডিসেম্বর বাড়ির পাশে একটি দিঘিতে তাল বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যায়।
সংবাদ সম্মেলনে ওসি বলেন, থানার এসআই নূরে আলম সিদ্দিকীসহ সঙ্গীয় ফোর্সরা গত রোববার সন্ধ্যায় গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর ইউনিয়নের বিলশা গ্রাম থেকে খাদিজার আপন চাচাত ভাই শাকিব হাসান, তার মা সোনালী বেগম ও বাবা মোর্শেদ আলীকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি বলেন, “গ্রেপ্তারের পর শাকিব হাসান পুলিশকে জানিয়েছে সে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে গিয়ে খাদিজাকে গলাটিকে হত্যা করেছে।”
থানায় শাকিবের দেওয়া জক্নবন্দির বরাত দিয়ে ওসি বলেন, গত বছরের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে শাকিবের ঘরে টেলিভিশন দেখতে গেলে শাকিব গামছা দিয়ে খাদিজার মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনাটি তার মা সোনালী বেগমকে জানালে তিনি স্বামী মোর্শেদ ও ভাসুর মিলনকে জানান। এরপর মোর্শেদের পরিকল্পনায় খাদিজার মৃতদেহটি বস্তায় ভরে খাটের নিচে দুইদিন রেখে দেয়। সুযোগ বুঝে ২২ ডিসেম্বর রাত ২টার দিকে তারা চারজন বস্তাবন্দি লাশটি পাশের দীঘিতে ফেলে দেয়।
ওইদিন সকালে তাদের পরিবার থেকে পুকুরে লাশ পাওয়ার খবরটি পুলিশকে জানানো হয় এবং খাদিজার বাবা প্রতিবেশীর নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে ওসি জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রথম থেকেই তাদের আচার-আচরণ যথেষ্ঠ সন্দেহজনক ছিল। সে বিষয়টি মাথায় রেখে শাকিবকে নির্ভয় এবং আইনের সহযোগিতার আশ্বাস দিলে সে ঘটনা স্বীকার করে।
এ মামলায় ইতিপূর্বে গ্রেপ্তার প্রতিবেশী নাজমা, নাইম, নাজমুল, বাদল, শহিদুলসহ ছয়জন দশ মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন।