সিভিল সার্জন আব্দুর রউফ সাংবাদিকদের বলেন, নগরীর চড়পাড়ায় বেসরকারি হাসপাতাল ‘শিলাঙ্গনে’ চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু রাফিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার সকালে লিখিত অভিযোগ দেন তার বাবা।
“সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিকালে শিলাঙ্গন হাসপাতালের সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।”
রাফিয়া মাহমুদা (১২) শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও লেখক মাহমুদ বাবুর মেয়ে এবং চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।
এমদাদুল বলেন, সেখানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মনির হোসেন ভূইয়া দুইদিনব্যাপী নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ২৮ অগাস্ট রাফিয়ার এপেন্ডিসাইটিস শনাক্ত করেন। ওইদিন ভোর ৬টায় তার অপারেশন হয়।
“অপারেশনের পর রাফিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে পাশের একটি ক্লিনিকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।”
রাফিয়ার বাবা মাহমুদ বাবু বলেন, “মেয়ের তলপেটে ব্যাথা হলে ডা. শিলা সেনের কাছে তাকে নিয়ে যাই। চিকিৎসার ভার পড়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মনির হোসেন ভূইয়ার উপর।
“২৮ অগাস্ট মনির হোসেন আমার মেয়েকে অপরেশন করে বাসায় চলে যান। পরে রাফিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাকে আর পাওয়া যায়নি; যার ফলে রাফিয়ার মৃত্যু হয়েছে।”
এ ব্যাপারে চিকিৎসক মনির হোসেন ভূইয়া বলেন, “রাফিয়ার প্রথম মাসিক হওয়ায় তার শারীরিক অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। তাই তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরিবারের অনুমতি নিয়ে মধ্যরাতেই অস্ত্রোপাচার করতে বাধ্য হই। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি তাকে বাঁচানোর জন্য।”