রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তারান্নুম রাহাত এ আদেশ দেন।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন চেয়ারম্যান আবুল হাশেম।
নাসিরনগর থানার ওসি আবু জাফর জানান, নাসিরনগরে হিন্দুমন্দির ও পল্লিতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়েরকৃত আট মামলার মধ্যে একটি মামলায় ২২৮ জনের নামে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
অভিযোগপত্রের আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছেন হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি, হাজি বিল্লাল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান বলেন, পলাতক আসামি আবুল হাশেম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ফেইসবুকে রসরাজ দাস নামে এক যুবকের আইডি থেকে ধর্ম অবমাননাকর ছবি পোস্টের জেরে ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলা সদরে হিন্দুদের ১৫টি মন্দির ও অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুষ্কৃতিকারীরা। এসব ঘটনায় নাসিরনগর থানায় আটটি মামলা দায়ের করা হয়।