রাজধানীর অদূরে সাভার উপজেলায় কয়েকটি গ্রামে গিয়ে কৃষক ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা গরু চুরির আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
ভাকুর্তা ইউনিয়নের খাগুড়া মধ্যপাড়া মহল্লার শামসুল ইসলাম বলেন, “ঈদ সামনে রেখে গরুচোররা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা পিকআপ নিয়ে আসে। রাস্তার পাশে রেখে মেরামতের ভান করে। পরে সুযোগ বুঝে গরু তুলে নিয়ে দ্রুত চলে যায়। ওই পিকআপে চোর এসেছে তা বোঝা কঠিন। আর রাতে ত কথাই নেই।”
ওই গ্রামের আহসান উল্লাহ, করম আলী, ডোমরাকান্দা মহল্লার আবু বক্কারের একটি করে গরু চুরি হয়েছে বলে তারা জানান।
এছাড়া এক রাতেই হিন্দু ভাকুর্তা মহল্লার মাইনুদ্দিনের ছয়টি গাভি ও চাইরা এলাকায় হনু মিয়ার তিনটি গাভি চুরি হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
পুলিশকে বললেও তাতে কাজ হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
আর ওই এলাকার ইদ্রিস আলী আরও অভিযোগ করেছেন, তিনি ভাকুর্তা ফাঁড়ির পুলিশকে গরু চুরির কথা জানানোর পর তাকে হয়রানি করা হয়েছে।
“জানানোর পর তারা এক রাতে এলাকায় টহলে আসে। তখন আমার মুখে দাড়ি দেখে তারা জঙ্গি বলে আমাকে গাড়িতে উঠিয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরাতে থাকে। পরে এলাকাবাসী ও স্বজনরা বেরিয়ে আসলে তোপের মুখে পুলিশ আমাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়।”
ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আবুল কালাম আজাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “এ ফাঁড়িতে মাত্র ১৫ জন সদস্য আছেন। এত কম জনবল দিয়ে পুরো ভাকুর্তায় টহল দেওয়া কঠিন। তবু প্রতি রাতেই আমরা টহল দেওয়ার চেষ্টা করি। আর গরু চুরির অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করছি।”
সাভার থানার ওসি মহসিনুল কাদির চোর ধরার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার ভোরে গরু চুরির সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তিনি ‘তদন্তের স্বার্থে’ আটককৃতদের পরিচয় বলেননি।