বৃহস্পতিবার ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নামলেও মনু নদীর পানি বিপদসীমার উপরে রয়েছে। আকস্মিক এ বন্যায় কুলাউড়া, কমলগঞ্জ ও রাজনগরের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী পার্থ জানান, ধলই নদীর পানি বিপদ সীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে নেমেছে; তবে মনু বিপদসীমার ১৭৫ সেন্টিমিটার থেকে নেমে ১২৭ সেন্টিমিটারে বইছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এ প্রতিনিধি সরেজমিন ঘুরে দেখেন, কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নে মনু নদের চারটি স্থানের প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে প্রবেশ করা পানিতে তিনটি কালভার্ট ভেঙে গেছে। সড়কের কয়েকটি স্থান তিন ফুট পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
শমশেরনগর-চাতলাপুর চেকপোস্ট সড়কের শরীফপুর ইউনিয়ন কার্যালয়ের কাছে বড় কালভার্ট দেবে মাঝখানে বড় ফাটল এবং পানির তোড়ে আমতলা বাজারের দুই দিকে দুটি কালভার্ট ভেঙে গেছে।
কালভার্ট ভেঙে সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় বুধবার থেকে চাতলাপুর চেকপোস্টের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফলে ভারতীয় ও বাংলাদেশ অংশে যাত্রীরা আটকা পড়েছেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ বলেন, দেবে যাওয়া কালভার্টেল স্থানে একটি বেইলি সেতু নির্মাণের চেষ্টা চলছে। তাছাড়া আমতলা এলাকায় আরও দুটি কালভার্ট ভেঙে ও সড়কে পানি থাকায় চেকপোস্টের সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
মনু নদে পানি না কমলে ও সড়ক থেকে পানি না নামলে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে না বলে জানান তিনি।