সোনাহাট স্থলবন্দর অবকাঠামোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হল কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর অবকাঠামো।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2018, 11:26 AM
Updated : 9 June 2018, 11:26 AM

শনিবার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার এ বন্দর অবকাঠামোর উদ্বোধন করেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

বন্দরে ইমিগ্রেশন না থাকা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বন্দরে ইমিগ্রেশন চালু করতে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ইমিগ্রেশন চালু করা হবে।

২০১২ সালের ১৭ নভেম্বর বন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী। ২০১৩ সালে বন্দর চালু হলেও নিজস্ব অবকাঠামো ছিল না। জমি অধিগ্রহণ শেষে ২০১৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বন্দরের এই অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

বন্দরে ১৪ দশমিক ৬৮ একর জমিসহ ৬০০ মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ওয়ারহাউজ, ৯৬ হাজার বর্গফুটের পার্কিং ইয়ার্ড, ৮৫ হাজার বর্গফুটের ওপেন স্ট্যাক ইয়ার্ড, শ্রমিকদের জন্য দুটি বিশ্রামাগার, একটি প্রশাসনিক ভবন, দ্বিতল সিকিউরিটি ব্যারাক, দ্বিতল ডরমেটরি ভবন এই অবকাঠামোতে রয়েছে।

সোনাহাট স্থলবন্দরের সঙ্গে ভারতের এলসি স্টেশন গোলকগঞ্জ, ধুবরী ও আসাম থেকে ১০টি পণ্য আমদানি ও রপ্তানি হচ্ছে।

এই স্থলবন্দর থেকে সরকার বছরে ১২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করছে বলে জানান মন্ত্রী।

স্থলবন্দর চত্বরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীনেরর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, রংপুর কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার আহসানুল হক, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুন্নবী চৌধুরী খোকন, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএইচএম মাগফিরুল হাসান আব্বাসি প্রমুখ।

এর আগে সকালে হেলিকপ্টারে করে সোনাহাট আসেন মন্ত্রী। উদ্বোধন ও আলোচনা শেষে দুপুরে কুড়িগ্রামের চিলমারী নৌবন্দর পরিদর্শনে যান তিনি।