নগরকান্দা ও সালথা উপজেলার মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এই সড়ক। এ দুই উপজেলা সদরের মধ্যের ১৫ কিলোমিটার সড়কটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অদিদপ্তর (এলজিইডি)। নির্মাণের পর দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
সড়কটির নগরকান্দা অংশে রয়েছে তিন কিলোমিটার এবং সালথা অংশে রয়েছে ১২ কিলোমিটার। নগরকান্দা অংশের বেশিরভাগই খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। আর সালথার প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ভাঙাচোরা অবস্থা।
“বৃষ্টির কারণে গর্তে পানি জমে থাকায় সড়ক দিয়ে ভ্যান বা অটোও এখন কম চলাচল করে। বেশিরভাগ সময় হেঁটে স্কুলে যেতে হয়, এ কারণে সময়মতো স্কুলে যেতে পারি না।”
চলাচলকারী এনজিও কর্মী শাহনাজ পারভিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সড়কটি দুই উপজেলার মধ্যে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এই সড়ক বেহাল হওয়ায় ঠিকমতো সবার বাড়ি যেতে পারি না। ঋণের টাকা আদায়ে সমস্যা হচ্ছে।”
প্রতিদিন এলাকার উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিভিন্ন হাট বাজারে নিতে এ সড়কটিই প্রধান ভরসা।
জেলা সদরের চাকরিজীবী সাত্তার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জেলা সদরে চাকরি করার কারণে প্রতিদিনই আমাকে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। সড়কে খানাখন্দের কারণে ভ্যান, অটো কম চলায় অনেক সময় হেঁটে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যেতে হয়। আবার ফেরার সময় রাত হয়ে যায়। সেসময়ও বাড়ি ফিরতে অনেক সমস্যা হয়।”
এলজিইডির নগরকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল হান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সড়কটির সংস্কার কাজের জন্য প্রধান কার্যালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হবে।
নগরকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি জেলা উন্নয়ন সম্বনয় সভায় তোলা হয়েছে। আশা করছি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দ্রুত একটি ভালো সিদ্ধান্ত আসবে।”