বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে জানাজা শেষে সদর উপজেলার দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে জেলার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শাহ আব্দুল সাদী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার মুক্তামনিকে দেখতে আসেন।
তার এ মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশসহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-দেবহাটা-কালিগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম রুহুল হক।
মুদি দোকানি ইব্রাহিমের মেয়ে মুক্তামনির ডান হাতে দেড় বছর বয়সে একটি ছোট গোটা দেখা দেয়। পরে তা বাড়তে থাকে।
হাতে বিকট আকৃতির ফোলা নিয়ে গত ১১ জুলাই ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয় মুক্তামনি। চিকিৎসকরা তার রোগ শনাক্ত করেন রক্তনালীর এক ধরনের টিউমার হিসেবে, যাকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় হেমানজিওমা।
ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসকের একটি দল মুক্তামনির হাতে ছয় দফা জটিল অস্ত্রোপচার করেন। কিছুটা ভালো বোধ করলে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর তাকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেন চিকিৎসকরা।
বুধবার সকাল ৬টা ৫৯ মিনিটে ওই গ্রামে বাড়িতে মারা যায় মুক্তামনি। সম্প্রতি তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হয়েছিল। ডান হাত আরও ফুলে গিয়েছিল। তাকে নিয়ে চিন্তায় ছিল পরিবার। কয়েক দিন থেকেই জ্বরে ভুগছিল শিশুটি। মঙ্গলবার রাত থেকে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। দুই দিন কিছু খেতে পারেনি সে।
মুক্তামনির অসুস্থতা ও ঢাকায় চিকিৎসার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর থেকে সবার মানুষের মধ্যে সহমর্মিতা ছড়িয়ে পড়েছি।
মুক্তামনির মৃত্যুর খবর জানার পর আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষের ঢল নামে তাদের বাড়িতে।