গাজীপুর সিটি নির্বাচন: ভোটের আগেই ‘ফতুর’ প্রার্থীরা

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন হঠাৎ স্থগিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেক প্রার্থী। নির্দিষ্ট সময়ে ভোট হয়ে গেলে তাদের হিসাবের তেমন গরমিল হতো না। কিন্তু সময় বেড়ে যাওয়ায় প্রচারে তাদেরকে আবার নতুন করে খরচ করতে হবে।

আবুল হোসেন গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2018, 03:48 PM
Updated : 12 May 2018, 03:48 PM

ইতিমধ্যে অনেক কাউন্সিলর পদপ্রার্থী তাদের নির্বাচনী ব্যয়সীমা  অতিক্রম করে ফেলেছেন। কেউ কেউ বলছেন তারা ভোটের আগেই ‘ফতুর’ হয়ে গেছেন।

আগামী ১৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোটের দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সীমানা সংক্রান্ত একটি রিট মামলায় গত ৬ মে ভোট স্থগিত হয়ে যায়। 

আদালতের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আপিল করলে আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ বাতিল করে দেয় এবং নির্বাচন কমিশনকে ২৮ জুনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের আদেশ দেয়।

প্রার্থীরা বলেন, ২৪ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকে প্রচার শুরু করেছিলেন প্রার্থীরা। অনেক টাকা খরচ করে তারা গণসংযোগ, পোস্টার, লিফলেট, পথসভার মাধ্যমে অনেকটাই গুছিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু ভোট গ্রহণের আগেই নির্বাচন স্থগিত হয়ে যাওয়ায় এবং ঝড়-বৃষ্টিতে প্রার্থীদের পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার ইত্যাদি সামগ্রী ছিঁড়ে গেছে এবং অধিকাংশই বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। ভোট গ্রহণের দীর্ঘ বিরতিতে তাদেরকে আবার অতিরিক্ত পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার তৈরি করতে হবে।

১০ মে নির্বাচনের স্থগিতাদেশ বাতিল হলেও নির্বাচনী প্রচারের অনুমতি দেওয়া হয়নি। রোববার নির্বাচন কমিশন বসে প্রচার এবং ভোটের দিনক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আগে প্রচারের মেয়াদ শেষ হওয়ার সাত দিন আগেই নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। এবারও ওই ৭দিন প্রচারের সুযোগ রেখে নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন ধার্য করবে বলেই প্রার্থীদের ধারণা।

১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিবুর রহমান রিপন বলেন, নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় গোছানো মাঠটি অগোছালো হয়ে গেছে। সামনে রোজা-ঈদ। এতে খরচ তো রয়েছেই। আবার দীর্ঘদিন বিরতিতে পোস্টার-ব্যানার-লিফলেট ইত্যাদি ঝড়-বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আবার ওইসব করতে অনেক টাকা দরকার।

“আমার মত এখন অনেকেই ফতুর হয়ে যাবেন। মাঝপথে গিয়ে তো আর বাদ দেওয়া যাবে না। ধার-দেনা করে হলেও নির্বাচন করতে হবে।”  

১ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর প্রার্থী পারভীন আক্তার বলেন, ভোটটা ১৫ মে হলেই সবচেয়ে ভালো হতো। এখন এক হচ্ছে রোজা অপর হচ্ছে ঈদ। ঈদ ছাড়াই লোকজন সাহায্য সহযোগিতার জন্য মাথা খেয়ে ফেলে।

“ভোট স্থগিতের আগেই আমাদের বাজেট শেষ হয়ে গেছে। এখন  শেষ করতে ভোটের আগে ঈদটা হওয়ায় প্রার্থীদের খরচ বেড়ে গেছে। ঈদের রোজার আমেজ কাটার পর ভোট হলে কিছুটা খরচ কম হত। ঈদ খরচ, ভোট খরচ যোগাতে আমাদের অনেককেই ঋণগ্রস্ত কিংবা জমি বিক্রিও করতে হবে।”

এমন মতই অনেক প্রার্থী প্রকাশ করেছেন।