রাবি শিক্ষক রেজাউল হত্যা মামলার রায় মঙ্গলবার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে মঙ্গলবার।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 May 2018, 03:15 PM
Updated : 7 May 2018, 03:36 PM

রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার বেলা ১১টার দিকে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন বলে জানান আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু।

রায়ে আসামিদের সবার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে আশা করে রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, অভিযোগপত্রে আটজনকে আসামি করা হলেও পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিচারকার্য পরিচালিত হয়েছে।

অভিযোগপত্রভুক্ত সবাই জেএমবি সদস্য। তাদের মধ্যে একজন পলাতক। একজন রয়েছেন জামিনে। আর তিন আসামি কারাগারে আছেন।

বাকি তিনজন অভিযোগপত্র দেওয়ার আগেই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছেন।

সংঘবদ্ধ জঙ্গিরাই অধ্যাপক রেজাউলকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের ভাষ্য।

আইনজীবী বাবু বলেন, গত ১১ এপ্রিল মামলার রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওই দিন বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ৮ মে দিন ধার্য করে দেন। এ মামলায় মোট ৩২ জন সাক্ষী ছিলেন। তবে আদালত ২৬ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে।

২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর এই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহী নগরের শালবাগান এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে ৫০ গজ দূরে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয় ড. সিদ্দিকীকে।

বাড়ির পাশে এই স্থানটিতে হত্যা করা হয়েছিল অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে

আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

তাদের মধ্যে তিনজন- খায়রুল ইসলাম বাঁধন, নজরুল ইসলাম ওরফে হাসান ওরফে বাইক হাসান ও তারেক হাসান ওরফে নিলু ওরফে ওসমান অভিযোগপত্র দেওয়ার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যান।

শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মসূচিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বগুড়ার শিবগঞ্জের মাসকাওয়াত হাসান ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে সাকিব, নীলফামারির মিয়াপাড়ার রহমত উল্লাহ, রাজশাহী মহানগরীর নারিকেলবাড়িয়া এলাকার আবদুস সাত্তার, তার ছেলে রিপন আলী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম।

তাদের মধ্যে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শরিফুল ইসলাম এখনও পলাতক। আবদুস সাত্তার রয়েছেন জামিনে। আর বাকি তিন আসামি কারাগারে আছেন।