বাঘ সিংহের খাবার যোগাতে সাফারি পার্কে খরগোশের খামার

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে বাঘ, সিংহ, ভালুক ও অজগরের খাবারের চাহিদা মেটাতে বেলজিয়াম থেকে দ্রুত বর্ধনশীল ফ্লেমিশ জায়ান্ট খরগোশের বাচ্চা আমদানি করা হয়েছে।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 April 2018, 05:44 AM
Updated : 16 April 2018, 05:44 AM

পার্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, ফ্লেমিশ জায়ান্ট খরগোশ আকারে বড়; বছরে ৮ থেকে ১০ বার বাচ্চা দেয়। এসব দিক বিবেচনা করেই তারা বাচ্চা আমদানি করেছেন নিজস্ব খামার গড়ে তোলার জন্য।   

পার্কের প্রকল্প পরিচালক মো. সামসুল আজম জানান, বাঘ, সিংহ, ভালুক ও অজগরকে প্রতি শুক্রবার তারা খরগোশ খেতে দেন। এজন্য ওইদিন ৩০ থেকে ৪০টি খরগোশ দরকার হয়, যার মোট ওজন ৭০ থেকে ৮০ কেজি।

“এতদিন আমরা ঠিকাদারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন ফার্ম থেকে দেশীয় জাতের খরগোশ কিনতাম। এখন নিজস্ব পরিবেশে লালন-পালন করে সেই খরগোশে কাজ চালানো গেলে প্রতিমাসে তিন থেকে চার লাখ টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব।”

বেলজিয়াম থেকে যে ছয়টি বাচ্চা আনা হয়েছে, সেগুলোর বয়স তিন থেকে ছয় মাস। এই জাতের খরগোশ প্রতিবারে ৩ থেকে পাঁচটি করে বাচ্চা দেয়। এক বছরে এদের ওজন হয় সাত থেকে আট কেজি।

ফ্লেমিশ জায়ান্ট খরগোশ সাড়ে ৪ মাস বয়সেই প্রজননক্ষম হয়ে ওঠে। আবদ্ধ পরিবেশে এরা ৫/৬বছর বাঁচে; প্রাকৃতিক পরিবেশে বাঁচে আরো কম।

পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার মো. সরোয়ার হোসেন খান জানান, ফ্লেমিশ জায়ান্ট খরগোশ শীতের দেশের প্রাণী হলেও সাফারি পার্কে এই খরগোশ পালনের জন্য তারা প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করে নিয়েছেন। খাবার হিসেবে তাদের দেওয়া হচ্ছে গাজর, মুলা, কঁচি ভুট্টা, বাদাম, ছোলা, বরবটি ও নাশপাতি।

তিনি জানান, প্রতি শুক্রবার পার্কের পূর্ণ বয়স্ক বাঘ, সিংহ, ভালুক ও অজগরকে দুই কেজি ওজনের জ্যান্ত খরগোশ দেওয়া হয়। আর অপ্রাপ্তবয়স্কদের বেলায় আধা থেকে এক কেজি ওজনের খরগোশ দেওয়া হয়।

বাকি দিনগুলোতে প্রতিটি পূর্ণবয়স্ক প্রাণীর জন্য পাঁচ কেজি করে গরুর মাংস দেওয়া হয়। তবে সাদা সিংহকে দেয়া হয় ছয় কেজি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে বর্তমানে নয়টি বাঘ, ২৪টি সিংহ, ১৪টি ভালুক এবং নয়টি অজগর সাপ রয়েছে।