আলিফের খালু মো.ওয়াহিদুজ্জামান জানান, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়নের রাজাপুর মাদ্রাসা কবরস্থানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হলে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৪৯ জনের মৃত্যু হয়। ওই ফ্লাইটে আলিফ ছিলেন।
খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন আলিফুজ্জামান। খুলনার সরকারি বিএল কলেজ থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স পরীক্ষা দিচ্ছিলেন তিনি। তিন ভাইয়ের মধ্যে আলিফুজ্জামান ছিলেন দ্বিতীয়। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা মোল্লা আসাদুজ্জামান।
ভোররাতে আলিফের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে তার বাড়ি পৌঁছালে স্বজনদের কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। আলিফকে শেষ বারের মত দেখতে আশেপাশের হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায়।
খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো.আরাফাত হোসেন পল্টু বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলিফের প্রথম নামাজে জানাজা শেষে খুলনার উদ্দেশে রওনা দেয় মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স। রাত ৪টা ২০মিনিটে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছায়।