যশোর স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম বেনু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, লিটু ঝিনাইদহ ড্যাবের সিনিয়র সহসভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
“স্বাচিপ একজন ড্যাবনেতাকে এ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে যোগদান করতে দেবে না। বিগত চারদলীয় শাসনামলে স্বাচিপ সমর্থিত চিকিৎসকদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছে ড্যাব। যশোর থেকে তাদের অনেক দূরে বদলি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে স্বাচিপ তাকে এখানে যোগদান করতে দেবে না।”
লিটু ঝিনাইদহ ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে (আইএইচটি) কর্মরত ছিলেন।
তিনি বলেন, গত ১ মার্চ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পার-২ অধিশাখার যুগ্ম সচিব একেএম ফজলুল হক স্বাক্ষরিত এক আদেশপত্রে তাকে যশোর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
“মন্ত্রণালয় আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। আগামী ৮ মার্চ কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার শেষ দিন। যোগ দেওয়ার জন্য কামরুল ইসলাম বেনুর সহযোগিতা চেয়ে রোববার মোবাইল ফোনে কথা বলি। কিন্তু তিনি আমাকে যোগদান করতে সরাসরি নিষেধ করেন। চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আমাকে মেনে নেবেন না বলে বেনু আমাকে জানান। আমাকে এখানে যোগদান করতে না দেওয়া হলে ৮ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিষয়টি জানাব।”
এর আগে এ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন শ্যামল কৃষ্ণ সাহা। তিনি গত ৪ মার্চ চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় অবসরে যান।