রোববার র্যাব-৫ এর সহকারী অধিনায়ক মেজর আশরাফুল ইসলাম এ কথা জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের শরিফুল ইসলাম ওরফে শরিফ (৪৫), জাকারিয়া হোসেন ওরফে জাক্কার (৪৩) ও আতাউর রহমান ওরফে আহসান হাজী (৩৫)।
র্যাব বলছে, তারা সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ জেএমবির সক্রিয় সদস্য।
এ অভিযান নিয়ে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেছেন র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম।
তিনি বলেন, “জেএমবির সদস্যরা নাশকতার পুঠিয়ার জামিরা গ্রামে জড়ো হওয়ার খবরে র্যাব অভিযানে যায়। ওই গ্রামের এক চিকিৎসকের ডাল মিলের ভেতর থেকে শরিফ, জাক্কার ও আহসান হাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে আর ৫/৬ জন পালিয়ে গেছেন।”
র্যাব-৫ প্রধান আরও বলেন, “গ্রেপ্তার শরিফ জেএমবির অর্থ, অস্ত্র ও গোলাবারুদ ক্রয় যা তাদের আঞ্চলিক কমান্ডার জিয়ার কাছে হস্তান্তর করে।
“জাক্কার পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রী। তিনি রবিউল, জিয়া ও আউয়াল নামের তিন জঙ্গির মাধ্যমে জেএমবিতে যোগ দেয়। বর্তমানে তিনি বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দেন।”
কর্নেল মাহবুবুল আরও জানান, আহসান জঙ্গিদের অর্থ যোগান দেওয়া ছাড়াও জেএমবির বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নিয়ে সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় নাশকতা, জিহাদি বই বিতরণ এবং সংগঠনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে পরামর্শ দেন।
গত রোববার রাজশাহীর তানোর থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ জেএমবির তিন ‘সদস্যকে’ গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব।