মৃত মোস্তফা চৌধুরী (৩৫) স্বরুপকাঠীর জলাবাড়ি ইউনিয়নের আরামকাঠী গ্রামের সোহরাফ চৌধুরীর ছেলে।
শুক্রবার স্বরুপকাঠী থানার ওসি মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির এ কথা জানান।
মোস্তফার বাবা সোহরাফ অভিযোগ করেন, পূর্ব বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার রাতে মোস্তফাকে রাস্তা থেকে ধরে আরামকাঠী হাজি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে যায়। পরে ইউপি সদস্য নকিতুল্লাহ তার ‘সহযোগী’ শাহজাহান মোল্লা, আখতার, ইব্রাহীম চৌকিদারা তাকে লাঠিপেটা করে চলে যায়।
“সেখান থেকে মোস্তফাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হলেও নকিতুল্লাহ মেম্বারের ভয়ে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি নাই। সকালে পুলিশের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।”
মোস্তফার বোন মুক্তা আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গেল ইউপি নির্বাচনে মেম্বার নুকিতুল্লাহর বিরুদ্ধে নির্বাচন করে তার ভাই মোস্তফা। তাই এরপর থেকে মোস্তফাকে তারা ভয়ভীতি দেখানো এবং কয়েকবার মারধর করেছে। এ নিয়ে পরিকল্পিতভাবেই মোস্তফাকে নকিতুল্লাহ মেম্বার পিটিয়ে হত্যা করেছে”
তবে ইউপি সদস্য নুকিতুল্লাহ জানান, “স্থানীয়রা চোর সন্দেহে মোস্তফাকে ধরে মারধর করেছে। পরে
পরিবারের অনুরোধে এবং স্থানীয়দের কথায় তাকে পুলিশে না দিয়ে, তার বাবার কাছে দিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আমি কিছুই জানি না।”
ওসি মুনিরুল বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।