মঙ্গলবার গাজীপুরের কাপসিয়ায় নাসিম বলেন, “একজন সাবেক বিচারপতিকে সামনে রেখে ওরা জুডিশিয়াল ক্যু করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণ ও আদালত সচেতন ছিল বলে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
“এ ধরনের চিন্তা ভাবনা আমাদের নাই, কোনো ধরনের চিন্তাভাবনা আমরা করি না। আমাদের ক্যু করার তো প্রশ্নই ওঠে না। ওরা করতে পারে, তাদের মাথায় সারাক্ষণ ষড়যন্ত্র ঘুরপাক খায়। তারা সবক্ষেত্রে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পায়।”
বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন বলেই আওয়ামী লীগ সরকার আদালতের উপর কোনোদিনই হস্তক্ষেপ করেননি বলে দাবি করেন নাসিম।
উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে সংসদে পাশ হওয়া সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে হাই কোর্ট। গত ৩ জুলাই আপিল বিভাগও হাই কোর্টের রায় বহাল রাখে।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর ক্ষমতাসীন দলের তোপের মুখে পড়েন ওই সময়ের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এরপর ছুটিতে যান তিনি। কিন্তু পরে ছুটি থেকে না ফিরে তিনি পদত্যাগ করেন।
বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করার ইচ্ছে নেই বলেই শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও জেল হত্যার বিচার ট্রাইব্যুনালে না হয়ে সাধারণ আদালতে হয়েছে, বলেন নাসিম।
“কার বিচার হবে? কার শাস্তি হবে? কে নির্দোষ হবে? সেটা আদালতের ব্যাপার। আদালত সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের হস্তক্ষেপ করার প্রশ্নই ওঠে না।”
বিকেলে গাজীপুরের কাপসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে ‘ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক (সপ্তাহের প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা) স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ে অবহিতকরণ কর্মশালা এবং সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন মা ও শিশু কার্ড ও স্মার্ট এমসিএইচ সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার কার্যক্রমের অগ্রগতি অবহিতকরণ সভা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী মোস্তফা সারোয়ার, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক দেওয়ান মো. হুমায়ুন কবীর, বিএমএ-এর সভাপতি আমীর হোসাইন রাহাত, কাপসিয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল্লাহ প্রমুখ।