শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার মিরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে হবিগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান রাসেল জানান।
তিনি বলেন, সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে মিরপুরের বেদে পল্লীতে সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর একটি অনুষ্ঠান ছিল।
সেখানে ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে’ সাংসদ ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়ার লোকজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।”
পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে বলে তিনি জানান।
ওই ঘটনার পর সাংসদ কেয়া চৌধুরী মিরপুর বাজারে একটি প্রতিবাদ সভা করেন। সেখানে তিনি বলেন, পূর্ব পরিকল্পানা অনুযায়ী ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়ার লোকজন তার অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে।
“সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠান ছিল আমার। অনুষ্ঠান চলাকালে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।”
হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার কথা বললেও তাদের নাম-পরিচয় জানাননি তিনি।
রাতে কেয়া চৌধুরীকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তার ব্যক্তিগত সহকারী মামুন আহমেদ বলেন, “ম্যাডাম বাহুবলের মিরপুরে একটি অনুষ্ঠান করছিলেন। সেখানে বাহুবল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়ার নেতৃত্বে হামলায় ম্যাডাম আহত হন।”
অভিযোগ অস্বীকার করে ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়া বলেন, “অনুষ্ঠান চলাকালে একটি ছেলে মোবাইলে ছবি ধারণ করছিল। এ সময় সংসদ সদস্যের লোকজন তার মোবাইল ফোন নিয়ে নেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ উত্তেজিত হয়ে গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।”
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাংসদ কেয়া চৌধুরীকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
“তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তার জ্ঞান আছে, তিনি আশঙ্কামুক্ত। সারাদিন বিভিন্ন প্রোগ্রাম করায় খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো না করায় হয়তো তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।”