শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান এ কথা জানান।
উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহাকে প্রধান করে করা কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ, ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবু বকর মো. ইসমাইল ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।
কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার বিকালে অনুষ্ঠিত চারুকলা অনুষদের ‘আই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দুই নম্বর সেটের ৭৬ নম্বর প্রশ্নটি ছিল- ‘বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি? উত্তরের জন্য দেওয়া চারটি অপশন ছিল- (ক) পবিত্র কুরআন শরীফ (খ) পবিত্র বাইবেল (গ) পবিত্র ইঞ্জিল (ঘ) গীতা।
গীতার আগে ‘পবিত্র’ ছিল না।
একই সেটের ৪১ নম্বর প্রশ্নটি ছিল- ‘মুসলমান রোহিঙ্গাদের উপর মায়েনমারের সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সশস্ত্র হামলা চালায় কত তারিখে?
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে এ দুটি ‘সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন’ নিয়ে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
তবে এ ধরনের প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন চারুকলা অনুষদের ডিন মোস্তাফিজুর রহমান।
তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক আনন্দ কুমার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সমালোচনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ থেকেই কাজ শুরু হয়ে গেছে।
“আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।”