নগরকান্দা থানার ওসি এফএম নাসিম জানান, শুক্রবার মামলা দুটি দায়ের করেন নগরকান্দা থানার এসআই মো. হুমায়ন কবির ও ফুলসুতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আরিফুজ্জামান।
এ দুটি মামলায় ৬৯ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গটন করেছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার ঢাকা থেকে ফরিদপুরের রসূলপুর গ্রামে বাড়ি যাওয়ার পথে নগরকান্দার তালমার মোড়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর গাড়িবহর।
ইটের আঘাতে গাড়ি বহরের থাকা সহকারী পুলিশ সুপারের গাড়ির কাচ ভেঙ্গে যায়। নগরকান্দা থানার ওসি এ এফ এম নাসিমসহ পাঁচ জন আহত হন।
ওসি নাসিম জানান, পুলিশের মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এতে প্রধান আসামি হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মো. জামাল হোসেন মিয়া ও তার বড় ভাই ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য মো. কামাল হোসেন মিয়া।
“পুলিশের মামলায় সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগ এবং আরিফুজ্জামানের মামলায় সাজেদা চৌধুরীর গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ আনা হয়।”
এ ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে বলে ওসি জানান।
এদিকে, এ ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এরাদুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যর কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা ও নগরকান্দা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী ইশরাত জাহান।
এরাদুল হক বলেন, “আমরা গতকাল থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছি। আজ আবার সেখানে যাচ্ছি।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে রির্পোট প্রদান করার জন্য বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।