নেত্রকোণায় তালাবদ্ধ বাড়িতে দম্পতির লাশ

নেত্রকোণা শহরের সাতপাই এলাকার এক বাড়ি থেকে এক দম্পতির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।

নেত্রকোণা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Oct 2017, 10:45 AM
Updated : 13 Oct 2017, 10:56 AM

ওই দুইজন হলেন- সাতপাই বাবলু সরণির বাসিন্দা বিএডিসির অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী মিহির বিশ্বাস (৬৫) ও তার স্ত্রী সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাঠকর্মী তুলিকা চন্দ ওরফে সবিতা বিশ্বাস (৫৫)।

নেত্রকোণা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছানোয়ার হোসেন বলেন, মিহিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৎস্য বিভাগের কর্মচারী রাজীব পণ্ডিত শুক্রবার দুপুরে খেয়াল করেন, দুই দিন ধরে ওই দম্পতির কোনো সাড়া নেই।

“সন্দেহবশত রাজিব স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানান। কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে নিহতদের স্বজনরা বাইরে থেকে লাগানো গ্রিলের তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।”

পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি খাটের ওপর মিহিরের লাশ এবং ডায়নিংরুমের চেয়ারের পাশে সবিতার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘরের আলমারি ও ওয়র্ডরোব ছিল ভাঙা। বিছানার ওপর জিনিসপত্র ছড়ানো-ছিটানো ছিল।

পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী বলেন, “অন্তত দুই দিন আগে এই দম্পতিকে খুন করা হয়েছে। সম্ভাব্য সব দিক বিবেচনায় রেখে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত খুনি ধরা সম্ভব হবে।”

তবে কীভাবে ওই দম্পতিকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা দেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।

মিহিরের ফুফাত ভাই অসীম সেন জানান, ওই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে সুমন বিশ্বাস ঢাকায় একটি বায়িং হাউজে চাকরি করেন। আর মেয়ে সুমি বিশ্বাস স্বামীর সঙ্গে সিলেটে থাকেন। তাদের খবর দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেশী মুক্তা দে বলেন, ওই দম্পতিকে সবাই নিরীহ হিসেবেই জানত। এলাকায় কারও সঙ্গে কোনো বিবাদ ছিল না তাদের।

নেত্রকোণা সিআইডির জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার শংকর কুমার দাস বলেন, ঘটনাস্থলে সিআইডির তদন্ত দল গেছে, তারা কাজও শুরু করেছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজিজ হায়দার ভুঁইয়া, গোয়েন্দা ও পুলিশ কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর দিন নেত্রকোণার দুর্গাপুর পৌরশহরের নিজেদের বাসায় খুন হন ব্যবসায়ী অরুণ কুমার সাহা ও তার স্ত্রী হেনা রাণী সাহা। পুলিশ এখনও সে হত্যাকাণ্ডেরও কিনারা করতে পারেনি।