এসব পশুর হাটের কারণে নগরবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই। যেখানে সেখানে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। চলাচলে অসুবিধায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। আর এসব হাটে পশুবাহী ট্রাক ঢোকানো নিয়েও সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ নানা ফ্যাসাদ লেগে আছে।
গত ২২ অগাস্ট মহানগর পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবিরিয়া নিজ কার্যালয়ে পশুর হাটের ইজারাদার, পশু ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সভায় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যানজটসহ আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় এবার কোনো অবৈধ (অনুমতিবিহীন) কোরবানির পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা জানান, নগরী ও শহরতলীতে ১০টি বৈধ পশুর হাট রয়েছে।
এগুলো হলো নগরীর কোতোয়ালি থানার কাজীর বাজার পশুর হাট, বিমানবন্দর থানার লাক্কাতুরা চা বাগান মসজিদ সংলগ্ন মাঠ, দক্ষিণ সুরমা থানার লালাবাজার পশুর হাট, কামাল বাজার পশুর হাট, নাজির বাজার পশুর হাট, মোগলাবাজার থানার রেঙ্গা হাজীগঞ্জ বাজার, জালালপুর পশুর হাট, রাখালগঞ্জ বাজার পশুর হাট, শাহপরান (রহ.) থানার পীরের বাজার পশুর হাট ও খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় এক নেতার নেতৃত্বে শাহী ঈদগাহ এলাকাবাসীর ব্যানারে অবৈধ পশুর হাট বসেছে।
এছাড়াও অবৈধ পশুর হাট বসেছে লালটিলা, কয়েদীর মাঠ, আম্বরখানা (আবাসন হাউজিং), আখালিয়া, চন্ডিপুল, মাদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা, দর্শন দেউড়ী, হাউর্জি এস্টেট, টিলাগড়, শাহী ঈদগাহ, রিকাবীবাজার, মেন্দিবাগ জালালাবাদ গ্যাস অফিসের পেছনে এবং কদমতলী ফল মার্কেটের সামনে।
“এলাকাবাসী আমাকে মৌখিকভাবে হাট বসানোর কথা বলেছেন। এখান থেকে যে টাকা পাওয়া যাবে সেগুলো মাঠের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হবে।”
পশু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দেশের বিভিন্ন স্থান থেবে ট্রাকে করে সিলেটে গরু নিয়ে আসেন বেপারীরা। গরুবাহী ট্রাক বিভিন্ন সড়ক দিয়ে প্রবেশ করার পরপরই মোটরসাইকেল দিয়ে ট্রাককে ঘিরে ধরে জোরপূর্বক হুমকি-ধামকি দিয়ে অবৈধ বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।
বেপারীদের গরুভরতি ট্রাক ছিনতাই করে অবৈধ হাটগুলোতে পশু বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েন বেপারীরা। সোমবার রাতেও গরুভরতি ট্রাক জোরপূর্বক অবৈধহাটে নিয়ে যাওয়া নিয়ে শাহী ইদগাহ এলাকায় দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে।
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফরাবি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সদর উপজেলায় অস্থায়ীভাবে তিনটি পশুর হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ তিনটি পশুর হাটের বাইরে কোনো পশুর হাট বসালে খোঁজ নিয়ে অভিযান চালানো হবে।”
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা বলেন, মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে নগরবাসীকে অনুরোধ করা হয়েছে বৈধ পশুর হাট থেকে পশু ক্রয় করার জন্য। অবৈধ হাট উচ্ছেদে অভিযান চালানো হবে বলেও জানান তিনি।