যমুনার পানি বৃদ্ধি, জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে যমুনার পানি বৃদ্ধির ফলে জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

জামালপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 August 2017, 08:28 AM
Updated : 13 August 2017, 12:34 PM

গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যার কারণে শনিবার ইসলামপুর উপজেলার ১০টি ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন।  

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ পাঠক আব্দুল মান্নান বলেন, “রোববার সকাল ৯টায় বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি ৬০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।”

এর আগে শনিবার সকাল ৯টা থেকে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে বলে তিনি জানান।

স্থানীয়রা জানান, যমুনার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে ইউনিয়নগুলোর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. রাসেল সার্বিন বলছেন, পানিবন্দির সঠিক তথ্য তাদের জানা নেই।

ইসলামপুরের চিনাডুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন,“বন্যায় চিনাডুলি ইউনিয়নের পুরোটাই ডুবে গেছে; পানিবন্দি  হয়েছে অন্তত ২০ হাজার মানুষ। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।”

রোববার সকাল থেকে নৌকায় করে কোরবানির পশু ও বন্যা কবলিত এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম এহসানুল করিম বলেন, বন্যা কবলিত এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া কোরবানির পশু ও মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে নৌকা সরবরাহের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে রোববার থেকেই বন্যা কবলিত এলাকার লোকজনের মাঝে ত্রাণ তৎপরতা চালানো হবে। এ ছাড়াও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, দেওয়ানগঞ্জের আটটি ইউনিয়ন ও দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের দুই হাজার ২১টি পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। বন্যা দুর্গতদের জন্য ১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।