‘ময়লা-বর্জ্য সরিয়ে নাও, শ্বাস নিয়ে বাঁচতে দাও’ শ্লোগানে গত ২৭ জুলাই তারা এক মানববন্ধন কর্মসূচিরও আয়োজন করেন।
আমনকুড়ার পান বিক্রেতা চাঁন মিয়া বলেন, “আমি যে এহানে আছি, আমার অবস্থা ভীষণ খারাপ। কাস্টমার আসে না। ময়লার গাড়ি যখন ময়লা ফেলে তখন আমি দোকান বন্ধ করে যাইগা।
“বেশির ভাগ সময় আমাদের এখানের সব দোকানপাট বন্ধ থাকে। কিছুদিন আগে আমরা মানববন্ধন করেছি। কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে কিছু করছে না।”
এ এলাকায় রয়েছে শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্কসহ বিপুল সংখ্যক বাড়িঘর ও বহু দোকানপাট। ময়লার দুর্গন্ধে এখানে বসবাস দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। মশা-মাছির দৌরাত্ম্য চলছে সারাক্ষণ।
এখানকার বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা আনিসুর রহমান লিখন বলেন, “ময়লার গন্ধে এখানে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
“দিন দিন ময়লার পরিমাণ বৃদ্ধিই পাচ্ছে। দুর্গন্ধও তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। কোরবানির বর্জ্য ফেলার পর এখানে থাকা আরও কঠিন হয়ে যায়।”
দরজা-জানালা সারাক্ষণ বন্ধ রাখতে হয় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এলাকার গৃহিণী আঞ্জুমান আরা যুথি বলেন, “এমন অবস্থা যে আমরা দরজা খুলে খাওয়ার টেবিলে খেতে পারি না। অসংখ্য মাছি ঘরে প্রবেশ করে। আমরা খুবই অস্বস্তিকর অবস্থায় আছি।”
নবারুণ পাবলিক স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মোহছেনা ফেরদৌসী প্রীতি বলছে, “ময়লা-আবর্জনার কারণে মশা-মাছির আক্রমণে আমরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। এখানে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।”
এলাকার সাইকেল মিস্ত্রি মো. আয়াতুল্লাহ নাকে আতর মেখে কাজ করেন বলে জানালেন।
“আমরা ইনু গন্ধের ঠেলায় কুনু কামি করার পাই না। আতর নাকে দিয়ে মাঝেমধ্যে কাজকাম করি।”
ফুটপাতের পিঠা বিক্রেতা কাজলী বেগম বলেন, “ময়লার দুর্গন্ধের চুডে বেচাকেনা অয় না। কাস্টমার আমার কাছে আয়ে না।”
এ বিষয়ে পৌরমেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন বলছেন, “জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে শহরের অষ্টমীতলায় ছয় কোটি টাকায় তিন একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এখানে ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা হবে। স্টেশন হয়ে গেলে আমরা আর আমনকুড়ায় ময়লা ফেলব না।”
মাস ছয়েকের মধ্যে স্টেশন নির্মিত হতে পারে বলে তিনি জানান।