উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, আশরাফুল ইসলামের একমাত্র ছেলে সাইফুল ইসলালামের (১০) পায়ে শেকল বাঁধা।
সাইফুলের মা সালেহা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, জন্মের পর সাইফুল একদিন মাথায় আঘাত পেয়েছিল। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা বাড়ে। ঠিকমতো কথা বলতে পারে না। বাড়ি থেকে বের হলেই হারিয়ে যায়।
“আগে অনেকবার বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করে খুঁজে পাওয়া গেছে। ছেলের পায়ে শেকল পরিয়ে রাখতে খুব কষ্ট লাগে। কিন্তু কি করব। কিছু করার নেই।”
দু পায়ে এমন করে শেকল বাঁধা যাতে সে লাফিয়ে চলাফেরা করতে পারে। এতে তাকে চোখে চোখে রাখা যায়। দূরে কোথাও যেতে পারে না।
বছর দুই আগ পর্যন্ত সাইফুলকে সাত-আট বছর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করাতে করাতে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এখন আর কোনো উপায় নেই।
সাইফুলের বাবা আশরাফুল একজন দিনমজুর। তিনিও স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারেন না বলে জানান তার স্ত্রী।
সাইফুলের পাঁচ বছর বয়সী একটি বোন রয়েছে।
সাইফুল তার নিজের নাম, বাবা-মায়ের নামসহ অনেক কিছু বলতে পারে। স্থানীয়দের ধারণা, উন্নত চিকিৎসা পেলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে। এজন্য এলাকাবাসী সাইফুলের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বছর প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য সাইফুলের নাম পাঠানো হয়েছে বলে মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আজহারুল ইসলাম আতিক জানিয়েছেন।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান সাইফুল সর্ম্পকে খোঁজখবর নেবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।