শুক্রবার বিকালে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বন্দরের চেকপোস্ট এলাকায় এ টার্মিনাল ভবন উদ্বোধন করেন। এরপর তা ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
এর আগে ২০১৩ সালের ২৩ অগাস্ট নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানই এই টার্মিনাল এবং বাস টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন।
ওই সময় থেকে আর্মড পুলিশ ও বন্দর কর্তৃপক্ষ বাস ও টার্মিনাল ভবন ব্যবহার করে আসছিল বলে যাত্রী টার্মিনাল এবং বাস টার্মিনাল হিসেবে চালু করা যায়নি।
বেনাপোল বন্দরের প্রকৌশলী আবুল খায়ের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সাত কোটি ৬৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯৮ টাকা ব্যয়ে তিনতলা আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১২ সালের ২২ এপ্রিল এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল।
তিনি জানান, টার্মিনালটির নীচ তলায় যাত্রীদের অপেক্ষার জন্য কক্ষ ও টোল আদায়ের অফিস রয়েছে। দ্বিতীয় তলায় যাত্রীদের বিশ্রামাগার ও ক্যান্টিন, তৃতীয় তলায় ভিআইপি যাত্রীদের জন্য রেস্ট হাউস রয়েছে।
এছাড়া এ ভবনের বিপরীতে এক কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার ৮৭ টাকা ব্যয়ে বন্দর বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১২ সালের ২২ মে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় বলে জানান আবুল খায়ের।
তিনি আরো জানান, দোতলা এ বাস টার্মিনালের নীচ তলায় রয়েছে বিভিন্ন পরিবহনের ১২টি টিকিট কাউন্টার, ৩০ হাজার বর্গফুটের পার্কিং এবং দ্বিতীয় তলায় রয়েছে যাত্রীদের বিশ্রামাগার ও দুটি দোকান।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহন মন্ত্রী ছাড়াও নৌ পরিবহন সচিব অশোক মাধব রায়, যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু, পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, বেনাপোল স্থল বন্দরের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০১৩ সালে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘খামখেয়ালিপনার’ কারণে সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ কাজে আসেনি।
“২০১৩ সালে উদ্বোধনের সময় থেকে আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনালটি ব্যবহার করে আসছে আর্মড পুলিশ; আর প্যাসেজ্ঞার টার্মিনালটি ব্যবহার করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। অথচ পর্যটকদের সুবিধা ও সাধারণ যাত্রী সেবার মান বাড়ানোর জন্যই এটি তৈরি করা হয়।”