এরা হলেন সদরের শেখহাটি গ্রামের মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে গোলজার হোসেন খান (৭০) এবং লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশার নবীর শেখের ছেলে দাউদ শেখ (৬৮)।
বৃহস্পতিবার রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয় বলে নড়াইল সদর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খান জানিয়েছেন।
শুক্রবার আদালতে হাজির করলে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
ওসি দেলোয়ার জানান, নাশকতার অভিযোগে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর নড়াইল সদর থানায় গোলজার হোসেন ও দাউদ শেখের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া এ দুজনের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগও রয়েছে বলে তিনি জানান।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নড়াইল শহরের চিত্রা নদীর পাড়ের পুরাতন লঞ্চ ঘাটের পন্টুনের উপর শত শত মুক্তিকামী মানুষকে হত্যা করে রাজাকাররা। মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে যাওয়ার সময় শেখহাটি এলাকা থেকে পাঁচ জনকে ধরে এনে পুরাতন লঞ্চ ঘাটে এনে হত্যা করা হয়।
“এই গণহত্যার সঙ্গে গোলজার হোসেন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।”
মামুন আরও বলেন, নড়াইলের কালিয়ার অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন দাউদ শেখ। এ ঘটনায় ১৯৭২ সালে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, ২০১০ সালে নড়াইলের আদালতে যুদ্ধাপরাধের কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে ওই সকল মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়। এসব মামলায় এ দুজনের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার তদন্তে গোলজার হোসেন খান ও দাউদ শেখের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ মিলেছে বলে তিনি জানান।