রোববার সকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান বরিশাল কোতোয়ালি থানার এসআই আবু তাহের।
গ্রেপ্তাররা হলেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম বাপ্পী, ছাত্রলীগ কর্মী আ ন ম হাফিজ, হাফিজুর রহমান ও রুবেল বেপারী।
এর আগে শনিবার রাতে পাঁচজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ১০/১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন কলেজের ইসলামী ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক অলিউল ইসলাম।
এসআই আবু তাহের বলেন, কলেজের অভিভাবকদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ সচিন কুমার রায় দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছে তাদের অনুপস্থিতির কারণ জানতে চান।
“এ নিয়ে এক অভিভাবকের সঙ্গে অধ্যক্ষের বাগবিতণ্ডা হয়। খবর পেয়ে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বাপ্পীর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে তাকে গালাগাল ও হুমকি দেয়।”
তবে বাপ্পীর দাবি, অধ্যক্ষ দুর্নীতির মাধ্যমে কলেজের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর প্রতিবাদ করায় অধ্যক্ষ দীর্ঘ দিন ধরে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।
এছাড়াও অধ্যক্ষ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীসহ সরকারি কর্মসূচি পালনে অনিহা দেখান। এবিষয়ে কথা বলতে গেলে তাদের সাথে অসদাচরণ করেন বলেও অভিযোগ করেন ছাত্রলীগের এ নেতা।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন অধ্যক্ষ শচিন কুমার রায়।