আগের দিন বিকালে ভান্ডারিয়া উপজেলার চিংগুড়িয়া গ্রামের ওই পাঁচজনকে ধরে বরিশাল র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার দুপুরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-৮ এর এক কর্মকর্তা।
শুক্রবার জুমার নামাজের আগে আশকোনায় নির্মাণাধীন র্যাব সদর দপ্তরের অস্থায়ী ক্যাম্পে আত্মঘাতী হামলায় প্রায় ২৫ বছর বয়সী এক যুবক নিহত হন।
পরদিন সকালে পিরোজপুরের এক মহিলা র্যাবের কাছে গিয়ে নিহত যুবককে নিজের ছেলে বলে দাবি করেন। পরে ওই নারীকে ভান্ডারিয়া উপজেলার চিংগুড়িয়া গ্রামের আমিরুন বিবি হিসেবে শনাক্ত করে র্যাব।
এর সূত্র ধরেই র্যাবের একটি দল ওই গ্রামে গিয়ে আমিরুনের স্বামী নূরুল ইসলাম হাওলাদার (৬৫), তাদের দুই ছেলে সহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৪০) ও রফিকুল ইসলামকে (৩০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। পাশাপাশি ওই এলাকার সুমন নামে নিখোঁজ এক যুবকের এক চাচা মুসা খান ও এক চাচী লাকি বেগমকে ধরে নেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক র্যাব-৮ একজন উপ-অধিনায়ক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আশকোনায় আত্মঘাতী হামলায় নিহত ওই যুবক তাদের স্বজন নয় বলে নিশ্চিত হয়ে তাদের সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
নূরুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী নিরু বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার দিনমজুর স্বামীর প্রথম স্ত্রী আমিরুন বেগমের তিন সন্তান শহিদুল, রফিকুল ও ফারুক হোসেন। বছরখানেক আগে ফারুক চট্টগ্রামে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।
“এরপর থেকেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন আমিরুন এবং যাকে দেখে তাকেই নিজের ছেলে মনে করে জড়িয়ে ধরেন।”
১০/১২ দিন আগে আমিরুন বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় বলে নীরু বেগম জানান।
এদিকে চিংগুড়িয়া গ্রামে নূরুল ইসলাম খান এর ছেলে সুমন (১৮) দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ বলে এলাকাবাসীরা জানান। সুমন জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মূছা ও লাকীকে আটক করে র্যাব।