যশোরে বিমান বাহিনীর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটির ফ্যালকন বেকারির ইনচার্জ ওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুল হাই টেলিফোনে জানান, অস্থায়ী ভিত্তিতে বেকারির ‘সরবরাহকারীর’ চাকরি হয়েছে ইমামের; বৃহস্পতিবার তিনি কাজেও যোগ দিয়েছেন।
আব্দুল হাই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইমাম আমাদের বেকারিতে উৎপাদিত পণ্য ঘাঁটি ও শাহিন কলেজের ২৫/৩০টি দোকানে সরবরাহ করবেন।”
তিনি জানান, সার্কুলার ছাড়া বিমান বাহিনীতে স্থায়ী চাকরি হয় না। সার্কুলার হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ইমামের চাকরি স্থায়ী করার ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি শুনেছেন।
একাদশ জাতীয় রোভারমুট উদ্বোধনের জন্য গোপালগঞ্জে গিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি টুঙ্গীপাড়ায় ইমাম শেখের ভ্যানে চড়ে নিজের শৈশব স্মৃতির স্থানগুলো ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তার ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও তার স্ত্রী পেপপি সিদ্দিক, মেয়ে লীলা ও ছেলে কাইয়ুজও ছিলেন ওই ভ্যানে।
এসময় তারা ইমামের অসুস্থ বাবা আব্দুল লতিফ শেখের চিকিৎসা ও ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে ৪০ হাজার টাকা তুলে দেন ইমামের মা শাহানূর বেগমের হাতে।
যশোর থেকে ইমাম বৃহস্পতিবার টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তাকে বিমান বাহিনীর বেকারিতে অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৩১ জানুয়ারি থেকে।
তার কাজ হবে বেকারিতে তৈরি সামগ্রী বিমান বাহিনীর নিজস্ব দোকানগুলোতে সরবরাহ করে টাকা বুঝে নেওয়া। আপাতত প্রতি মাসে তার বেতন হবে ৭ হাজার ৯৮৪ টাকা।
ইমাম বলেন, “আজ কাজ শুরু করেছি। চাকরি পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। চাকরি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ।”