স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি দেওয়া হাস্যকর: সাখাওয়াত

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসা বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে বিজিবি মোতায়েনকে ‘হাস্যকর’ বলেছেন।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Dec 2016, 06:29 AM
Updated : 19 Dec 2016, 06:30 AM

সোমবার সকালে শহরের মিশনপাড়া ও চাষাঢ়া এলাকায় গণসংযোগের সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “শুনেছি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে; এটাকে আমি হাস্যকর বলে মনে করি।”

ঢাকার লাগোয়া এই সিটি করপোরেশনে বৃহস্পতিবার ভোট সামনে রেখে সোমবার ২২ প্লাটুন বিজিবি নামার কথা রয়েছে। অন‌্য এলাকার বাসিন্দাদের নারায়ণগঞ্জে অবস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে সোমবার মধ্যরাত থেকে।

সাখাওয়াত বলেন, “স্ট্রাইকিং ফোর্স মানে কী? কোথাও কোনো ঘটনা ঘটার পরে তারা সেখানে উপস্থিত হবে। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর উপস্থিত হলে সেটা তো কার্যকর হল না।  ঘটনা যাতে না ঘটতে পারে, সেই ব্যবস্থার দাবি ছিল আমাদের।”

নারায়ণগঞ্জে এবারই প্রথম দলভিত্তিক সিটি নির্বাচন হচ্ছে। মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৫৬ জন আর সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচার চালাতে পারবেন তারা।

সাখাওয়াত অভিযোগ করেন, নির্বাচন প্রভাবিত করতে ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাতে ক্ষমতাসীন দল বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছে; বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে।

“এ নির্বাচন জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। সেই নির্বাচন করতে হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা জরুরি। সেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে বলে আমরা মনে করি না।”

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে প্রথম থেকেই সেনা মোতায়েনের দাবি ছিল বিএনপির। প্রচারে সেই দাবি আবারও তোলেন সাখাওয়াত।

“নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে হলে আমার পূর্বের যে দাবি ছিল- সেনাবাহিনী মোতায়েন। সেই সেনাবাহিনী মোতায়েন দরকার। এখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন হলে মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসত। আমি মনে করি সেটা এখনো সম্ভব, সেটা অবিলম্বে করা উচিত।”

তবে নারায়ণগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিকের চেয়ে সুন্দর’ রয়েছে মন্তব‌্য করে সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা গত ১০ ডিসেম্বরই নাকচ করে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।

সেদিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এখন পর্যন্ত সেনা মোতায়েনের মতো কোনো পরিস্থিতি নেই।”