বৃহস্পতিবার সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান তাদের সাক্ষ্য নেন।
এ নিয়ে এ মামলায় ৩৯ জন সাক্ষ্য দিল। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আগামী ৯ নভেম্বর শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করেছে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কিশোর কুমার কর জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জাবেদ আলী, ফরিদ মিয়া ও সিরাজ আলী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
তবে মামলার আরেক আসামি বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে অসুস্থতার জন্য আদালতে হাজির করা হয়নি।
গত বছর মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খানের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১৭১ জনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে এ মামলায়।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান ওই রাতেই হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
তিনদফা তদন্ত শেষে সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।