সোমবার রাতে উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের জামছড়ি মুখ পাড়ার বাসিন্দা ইউপি সদস্য ক্রানুপ্রু মারমার বাড়ি থেকে তাকে অপহরণ করা হয় বলে স্থানীয়দের ভাষ্য।
মংপু মারমা নামের ওই ব্যক্তি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি রাজবিলা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) লোকজন তাকে তুলে নিয়ে গেছে বলে পরিবারের অভিযোগ।
তবে জেএসএসের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
পুলিশ মংপু মারমাকে উদ্ধারে অভিযানের কথা জানালেও অপহরণ করা হয়েছে কি না সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
একইভাবে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী থোয়াইসাউ মারমা বলেন, “সোমবার রাতে ক্রানুপ্রু মারমার ঘর থেকে সন্ত্রাসীরা মংপু মারমাকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।”
মংপু মেম্বারের জামাতা হ্লামংসিং মারমার অভিযোগ, “আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) সন্ত্রাসীরা আমার শ্বশুরকে অপহরণ করেছে।”
সন্ত্রাসীরা তার শ্বশুড়কে হত্যা করতে পারে বলে আশংকা করছেন তিনি।
পরিবারের সদদ্যরা বলেছেন, সন্ত্রাসীদের পরনে সেনাবাহিনীর আদলে তৈরি পোশাক ছিল। তবে কী কারণে তারা মংপুকে অপহরণ করেছে সে সম্পর্কে কোনো ধারণা দিতে পারছেন না তারা।
অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বান্দরবান জেলার সভাপতি উছমং মারমা বলেন, “আমরা অপহরণ বা এ ধরনের আপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারি না।”
তারা অপহরণের নাটক করছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন উছমং।
এ বিষয়ে বান্দরবান থানার ওসি মো. রফিক উল্লাহ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলছেন, মংপুকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শহরের বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ।
সমাবেশে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়মী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা বলেন, মংপু মারমাকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত ও অক্ষত অবস্থায় ফেরত না দিলে বুধবার সকাল থেকে অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য বান্দরবানে সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হলো।