রোববার শুনানি শেষে রাজশাহীর শিশু আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হায়দার আলী সরকার এ আদেশ দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পূর্ণিমা ভট্টাচার্য।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে পূর্ণিমা বলেন, দুপুরে আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন মামলার পলাতক আসামি মাসিম।
“মামলার এজাহারে জামিনযোগ্য দণ্ডবিধি থাকলেও নির্যাতিত দুই শিশুর জবানবন্দি উল্লেখ করে বিচারক মাসিমের জামিন আবেদন নাকচ করেন।”
তিনি বলেন, গত ২২ ফেব্রায়ারি মারধরের শিকার দুই স্কুলছাত্র জাহিদ হাসান ও ইমন আদালতে জবানবন্দি দেয়। ওইদিন রাজশাহীর অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আব্দুস সালাম তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
পরে নিজ নিজ পরিবারের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয় বলে জানান পূর্ণিমা।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি পবা উপজেলার বাগসারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র জাহিদ হাসান ও ইমনকে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে ধরে নিয়ে গিয়ে আসামি রাকিবের বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করে এবং তার ভিডিও চিত্র ধারণ করা হয়।
পরদিন এ ঘটনায় দুই সেনা ও র্যাব সদস্যসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন জাহিদের বাবা ইমরান আলী।
আসামিদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন। এছাড়া আরও ছয়জন আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।
সেনা ও র্যাব সদস্যসহ অপর চারজন পলাতক রয়েছেন।