পবায় নির্যাতিত ২ শিশুর জবানবন্দি গ্রহণ

রাজশাহীর পবায় চুরির অভিযোগে মারধরের শিকার দুই স্কুলছাত্র জাহিদ হাসান ও ইমন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2016, 01:05 PM
Updated : 22 Feb 2016, 02:29 PM

সোমবার বিকালে রাজশাহীর অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আব্দুস সালাম তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

পরে তাদের শিশু আদালতে হাজির করা হয়, যেখানে মামলাটির বিচার কাজ চলছে।

রাজশাহী শিশু আদালতের এপিপি পূর্ণিমা ভট্টাচার্য জানান, পরে ওই আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হায়দার আলী সরকার তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে জাহিদ ও ইমনকে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান পূর্ণিমা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে পূর্ণিমা বলেন, গত বৃহস্পতিবার শিশু আদালতের বিচারক হায়দার আলী সরকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জাহিদ ও ইমনের জবানবন্দি রেকর্ড করার আদেশ দেন।

“সে আদেশের প্রেক্ষিতে দুপুর দেড়টার দিকে রাজশাহী মেডিকলে কলেজ হাসপাতাল থেকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

“বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।”

মহিলা আইনজীবী সমিতির সদস্য শামিমা ইয়াসমিন শিখা বলেন, জাহিদ ও ইমনের সাক্ষ্য গ্রহণ এবং তাদের স্বজনদের জিম্মায় দেওয়ার জন্য মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করা হয়।

সে আবেদনের প্রেক্ষিতে শিশু আদালত এ ব্যবস্থা নেয় বলে জানান শামিমা।

জাহিদকে তার বাবা ইমরান আলী ও ইমনকে তার মামা মিঠুর জিম্মায় দেওয়া হয়েছে বলে জানান শামিমা।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি পবা উপজেলার বাগসারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র জাহিদ হাসান ও ইমনকে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে ধরে নিয়ে গিয়ে রাকিবের বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করে এবং তার ভিডিও চিত্র ধারণ করে কয়েকজন ব্যক্তি।

পরদিন এ ঘটনায় দুই সেনা ও র‌্যাব সদস্যসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন জাহিদের বাবা ইমরান আলী।

আসামিদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন। এছাড়া আরও ছয়জন আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।

সেনা ও র‌্যাব সদস্যসহ অপর পাঁচজন রয়েছেন পলাতক।