পানি গরম করে না দেওয়ায় ‘গৃহকর্মীকে গরম পানি’

পানি গরম করে না দেওয়ায় গৃহকর্মীকে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায়।

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Dec 2015, 07:24 PM
Updated : 21 Dec 2015, 07:37 PM

গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুরের ওই ঘটনার পর তাকে চিকিৎসা না করিয়ে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগও উঠেছে গৃহকর্ত্রী সুলতানা আক্তারের বিরুদ্ধে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

তাসলিমা আক্তার (২০) নামের ওই গৃহকর্মী বর্তমানে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

কমলগঞ্জ উপজেলার চৈতন্যগঞ্জের আবদুল হাকিমের মেয়ে তাসলিমা সদর উপজেলার বড়কাপন গ্রামের আয়াজ মিয়ার বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সোমবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কথা হয় তার সঙ্গে।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে আয়াজ মিয়ার স্ত্রী সুলতানা আক্তার তার গায়ে পানি ঢেলে দেন।

“আমি সুলতানার জন্য গোসলের পানি গরম করছিলাম। এ সময় তার মেয়ে নাঈমা আক্তারও পানি গরম করে দিতে বলেন। আমি নাঈমাকে ‘একটু পরে দিচ্ছি’ বলার কারণে সুলতানা চুলা থেকে একটি বালতিতে করে গরম পানি নিয়ে আমার গায়ে ঢেলে দেন।”

তাসলিমা জানান, বাসায় তাকে বিনা চিকিৎসায় আটক রাখার পর সোমবার রাস্তায় বের করে দিলে তিনি কমলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে আশ্রয় নেন।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া শফি তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।

চেয়ারম্যান শফি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাসলিমা পালিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আশ্রয় নিলে আমি তার ভাইকে খবর দিয়ে তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। পরে তাকে দেখতেও গেছি।”

বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন বলেও জানান।

তাসলিমার অবস্থা সম্পর্কে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল সহকারী জাহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঝলসে যাওয়ার পরিমাণ প্রায় সাত শতাংশ হলেও তাসলিমার অবস্থা গুরুতর।

অভিযোগ সম্পর্কে সুলতানার কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বালতিতে করে গরম পানি নিয়ে আসার সময় পড়ে গিয়ে তাসলিমা আহত হয়। তাসলিমা যে অভিযোগ করেছে তা ঠিক না। সে সব সময় মিথ্যা কথা বলে।”

ঘটনার পর এত দিনেও চিকিৎসা না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে সুলতানা কোনো কথা বলেননি।

কমলগঞ্জ থানার ওসি এনামুল হক জানিয়েছেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।